রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা

রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা

রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা শিরোনামটি শুনলেই অনেকের কৌতূহল জাগে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ তথা রাকসু বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তবে অধিকাংশ মানুষই রাকসু সম্পর্কে সব জানেন না। আজকের এই দীর্ঘ ব্লগে আমরা জানবো রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা, যা অনেকের কাছেই একেবারেই নতুন।

pic


রাকসু কী এবং কেন গঠিত হয়েছিল

রাকসু বা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিনিধি সংগঠন। মূলত শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং ছাত্র রাজনীতির একটি সাংবিধানিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই এটি গড়ে ওঠে। অনেকেই জানেন না যে, রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা হলো, এটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং শিক্ষার্থীদের নানা কল্যাণমূলক কার্যক্রমেরও অংশীদার।

রাকসুর প্রথম নির্বাচন

রাকসুর প্রথম নির্বাচন হয়েছিল সত্তরের দশকে। তখন শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতেন। রাকসু নিয়ে অজানা কিছু তথ্য হলো, এ নির্বাচনে ভোটাধিকার ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর। এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার এক অনন্য উদাহরণ।

রাকসুর সাংস্কৃতিক ভূমিকা

অনেকে রাকসুকে কেবল রাজনৈতিক সংগঠন মনে করেন। কিন্তু রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য হলো, রাকসু নাট্যচক্র, সাহিত্যিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখত। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে এর অবদান অনস্বীকার্য।

রাকসু ও মুক্তিযুদ্ধ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাকসু নিয়ে অজানা কিছু কথা হলো, মুক্তিযুদ্ধে অনেক রাকসু নেতাকর্মী প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং শহীদও হয়েছিলেন। তাই ইতিহাসে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

রাকসু স্থগিত থাকার কারণ

অনেকেই জানেন না কেন রাকসুর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা হলো, আশির দশকের পর নানা রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক জটিলতা এবং ক্যাম্পাসে সহিংসতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে রাকসুর নির্বাচন স্থগিত থাকে।

রাকসুর সংবিধান

রাকসুর একটি লিখিত সংবিধান রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের অধিকার, কর্তব্য, নির্বাচন পদ্ধতি, সাংগঠনিক কাঠামো ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। রাকসু নিয়ে অজানা কিছু তথ্য হলো এই সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ভোটাধিকার সুরক্ষিত।

রাকসুর আলোচিত ঘটনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ইতিহাসে রাকসুকে ঘিরে অনেক আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। যেমন আন্দোলন, দাবি আদায়, এবং প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব। রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা হলো, এসব ঘটনার অনেকগুলো আজও ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

রাকসু ও সাধারণ শিক্ষার্থীর সংযোগ

অনেকে মনে করেন রাকসু কেবল ছাত্রনেতাদের বিষয়। কিন্তু রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য হলো এটি সরাসরি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত। প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি আবাসিক হল থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হতেন। তাই এটি ছিল শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জায়গা।

রাকসুর পুনর্জাগরণের দাবি

বছরের পর বছর রাকসুর নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা হতাশ। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় দাবি হলো রাকসুর পুনর্জাগরণ। রাকসু নিয়ে অজানা কিছু কথা হলো, এই পুনর্জাগরণের দাবি কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

রাকসুর ভবিষ্যৎ

আজকের তরুণ প্রজন্ম জানতে চায় রাকসুর ভবিষ্যৎ কী হবে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, যদি এটি পুনরায় সক্রিয় হয় তবে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার আরও সুসংহত হবে। রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা হলো, রাকসুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত উদ্যোগের উপর।

রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা: প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: রাকসু কী?
উত্তর: রাকসু হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার সংগঠন।

প্রশ্ন: রাকসুর কার্যক্রম কেন বন্ধ?
উত্তর: রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বহু বছর ধরে রাকসুর নির্বাচন হয়নি।

প্রশ্ন: রাকসুর গুরুত্ব কী?
উত্তর: এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতীক এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন: রাকসুর ভবিষ্যৎ কী?
উত্তর: পুনর্জাগরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যদি এটিকে পুনরায় সক্রিয় করতে পারে তবে এর ভবিষ্যৎ হবে উজ্জ্বল।

সবশেষে বলা যায়, রাকসু সম্পর্কে অজানা কিছু কথা জানলে আমরা বুঝতে পারি এটি শুধু একটি ছাত্র সংসদ নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। রাকসুর ইতিহাস, সংগ্রাম, অর্জন এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণার উৎস। তাই রাকসুর গুরুত্ব উপলব্ধি করা এবং এর পুনর্জাগরণ নিয়ে চিন্তা করা সময়ের দাবি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url