মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে অজানা ২০টি গোপন তথ্য

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে অজানা ২০টি গোপন তথ্য

মাইলস্টোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রহস্য উদঘাটন

বাংলাদেশের শিক্ষা জগতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি সুপরিচিত নাম। তবে এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এমন অনেক অজানা কথা আছে যা সাধারণ শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের অগোচরে রয়ে গেছে। আজ আমরা মাইলস্টোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেইসব গোপন তথ্য, অদেখা ইতিহাস এবং চমকপ্রদ কিছু ঘটনা তুলে ধরবো যা এই স্কুল ও কলেজকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে।

pic


মাইলস্টোনের প্রতিষ্ঠার গোপন ইতিহাস

অনেকে জানেন না যে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে একটি মর্মস্পর্শী গল্প। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু হয়েছিল মাত্র ৩৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। প্রতিষ্ঠাতা ড. ফারহানা রশীদের স্বপ্ন ছিল একটি আদর্শ শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলার, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের চর্চা হবে। মজার বিষয় হলো, প্রথমদিকে এই স্কুলটি পরিচালিত হতো একটি ছোট ফ্ল্যাট থেকে!

নামকরণের অজানা কাহিনী

মাইলস্টোন নামটি কীভাবে এলো? এই প্রশ্নের উত্তরে রয়েছে চমকপ্রদ তথ্য। প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন এমন একটি নাম রাখতে যা অর্জন এবং উন্নতির প্রতীক হবে। "মাইলস্টোন" বা মাইলফলক শব্দটি বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এটি জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনকে চিহ্নিত করে। তবে খুব কম মানুষই জানেন যে নামকরণের সময় আরও কয়েকটি নাম বিবেচনায় ছিল, যেমন "এভারেস্ট" এবং "সানফ্লাওয়ার"।

মাইলস্টোন কলেজের স্থাপত্যে লুকিয়ে থাকা বার্তা

মাইলস্টোন কলেজ ভবনের নকশায় রয়েছে গভীর প্রতীকী অর্থ। মূল ভবনের গোলাকার ডিজাইন জ্ঞানের বৃত্তাকার গতিকে নির্দেশ করে। ভবনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত খোলা জায়গাটি শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তার প্রতীক। জানা যায়, এই স্থাপত্য নকশা প্রণয়নে জাপানি স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব রয়েছে।

মাইলস্টোন স্কুলের গোপন পাঠ্যক্রম

প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যক্রমের বাইরেও মাইলস্টোনে রয়েছে কিছু গোপন শিক্ষা কার্যক্রম। এখানে শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় মেডিটেশন টেকনিক, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপমেন্ট এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল। এই বিশেষ কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে বাইরের মানুষ খুব কমই জানে। মজার বিষয় হলো, প্রতি শুক্রবার বিশেষ এক ঘণ্টা "ড্রিমিং সেশন" হয় যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নিয়ে আলোচনা করে।

মাইলস্টোনের বিখ্যাত প্রাক্তনীদের অজানা তথ্য

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করা অনেক প্রাক্তনী এখন দেশ-বিদেশে উচ্চ পদে আসীন। তবে আপনি কি জানেন যে, একজন মাইলস্টোনিয়ান নাসার মঙ্গল মিশনে কাজ করছেন? অথবা আরেকজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দলের সাথে গবেষণা করছেন? প্রতিষ্ঠানটি এই প্রাক্তনীদের সাফল্য গর্বের সাথে লালন করে, তবে প্রচার এড়িয়ে চলে।

মাইলস্টোন কলেজের লাইব্রেরিতে লুকিয়ে থাকা রত্ন

মাইলস্টোন কলেজ লাইব্রেরিতে রয়েছে ২৫,০০০ এরও বেশি বইয়ের সংগ্রহ। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে এখানে সংরক্ষিত আছে কিছু দুর্লভ পান্ডুলিপি এবং ব্রিটিশ আমলের কিছু মূল্যবান দলিল। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত একটি বাংলা ব্যাকরণ বই যা এই লাইব্রেরির গোপন সংগ্রহে রয়েছে।

মাইলস্টোনের অদেখা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম

মাইলস্টোন শুধু পড়াশোনার জন্য বিখ্যাত নয়, এর সাংস্কৃতিক কার্যক্রমও সমানভাবে সমৃদ্ধ। প্রতি বছর গোপনে আয়োজন করা হয় "মাইলস্টোন লিটারারি ফেস্টিভাল" যেখানে দেশের খ্যাতনামা সাহিত্যিকরা অংশ নেন। আরও আছে "সায়েন্স উইজার্ড" নামে একটি গোপন প্রতিযোগিতা যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে।

মাইলস্টোন স্কুলের অদ্ভুত কিছু নিয়ম

মাইলস্টোন স্কুলের কিছু অনন্য নিয়ম আছে যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। যেমন, প্রতিটি ক্লাস শুরু হয় ১ মিনিটের মেডিটেশন দিয়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ "নো টিফিন শেয়ারিং ডে" আছে যখন তারা কারো সাথে টিফিন শেয়ার করতে পারে না - এটি স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষা দেয়। সবচেয়ে মজার নিয়ম হলো "সারপ্রাইজ টেস্ট ডে" যখন শিক্ষার্থীরা জানে না কোন বিষয়ে পরীক্ষা হবে!

pic


মাইলস্টোন কলেজের গোপন সোসাইটিগুলো

মাইলস্টোন কলেজে বেশ কিছু গোপন সোসাইটি সক্রিয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বাইরের কেউ তেমন জানেন না। যেমন "দ্য থিঙ্কার্স ক্লাব" যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে, "কোড এক্স" নামে একটি প্রোগ্রামিং সোসাইটি, এবং "গ্রিন মাইন্ডস" নামে পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠন। এই সোসাইটিগুলোতে যোগদান করতে হলে বিশেষ ইনিশিয়েশন টেস্ট দিতে হয়।

মাইলস্টোনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো বেশ উচ্চাভিলাষী। প্রতিষ্ঠানটি একটি ফুল-ফledged ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া রয়েছে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কিত বিশেষ গবেষণা কার্যক্রম শুরু করার ইচ্ছে, এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের ইনোভেশন ল্যাব স্থাপনের প্রকল্প। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে মাইলস্টোন শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

মাইলস্টোন সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

প্রশ্ন: মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে।

প্রশ্ন: মাইলস্টোনের মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর: মাইলস্টোনের মূল লক্ষ্য হল সমন্বিত শিক্ষার মাধ্যমে পরিপূর্ণ মানুষ গড়ে তোলা।

প্রশ্ন: মাইলস্টোন কলেজে কি আবাসিক সুবিধা আছে?

উত্তর: না, মাইলস্টোন কলেজে বর্তমানে আবাসিক সুবিধা নেই, তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রশ্ন: মাইলস্টোন স্কুলে ভর্তির বয়সসীমা কত?

উত্তর: সাধারণত নার্সারি ক্লাসে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স কমপক্ষে ৪ বছর হতে হয়।

প্রশ্ন: মাইলস্টোনে কি বৃত্তির ব্যবস্থা আছে?

উত্তর: হ্যাঁ, মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য মাইলস্টোনে বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

মাইলস্টোনের অজানা সত্য জানার গুরুত্ব

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে এই অজানা তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারি। শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, মাইলস্টোন একটি জীবন্ত সংগঠন যেখানে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন ইতিহাস। এই গোপন তথ্যগুলো মাইলস্টোনের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সম্মান আরও বাড়িয়ে তোলে। মাইলস্টোনের ভবিষ্যৎ যাত্রায় আরও অনেক মাইলফলক স্পর্শ করার প্রত্যাশা রইল।

🔒 ডিসক্লেইমার

এই ব্লগ পোস্টে প্রদত্ত সকল তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে “মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে অজানা ২০টি গোপন তথ্য” বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়ার আগে নিজস্ব যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এই লেখায় কোনো প্রতিষ্ঠানের পেইড প্রচারনা নেই, এবং লেখক কোনো অর্থনৈতিক বা ক্যারিয়ার সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী থাকবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url